সৈয়দ সাইফুল ইসলাম বারী

Latest Post
২০ রাকাত তারাবিহ ৪ ইমামের জীবনী ৭৩ দল আমল আল্লাহ ও রাসূল (ﷺ) কে ভালবাসা আসমাউন নবী (ﷺ) আহলুস-সুন্নাহ আহলে কুরআন ফির্কা ইনসান ইবনে তাইমিয়্যা ইমান ইলমে গায়েব ইসলামের ভিত্তি উসীলা এপ্সঃ আল আউলিয়া ওহাবী কবর ও মাযার জিয়ারত কিতাবঃ ৪০ হাদিস মুখস্ত রাখার ফজিলত কিতাবঃ আকাইদে আহলুস সুন্নাহ কিতাবঃ ইসলামের মূলধারা [মঈনুদ্দীন আশরাফী] কিতাবঃ উচ্চস্বরে জিকিরের বিধান [ইমাম সুয়ূতী] কিতাবঃ নবীগণ (আঃ) স্বশরীরে জীবিত - ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) কিতাবঃ বিভ্রান্তির অবসান কিতাবঃ মহানবী (ﷺ) নূর [হাদ্দাদ দামেশকী] কিতাবঃ শাহ নেয়ামাতুল্লাহ (রহঃ)'র ভবিষ্যদ্বাণী কিতাবঃ সালাফীদের জবাবে কালিমায়ে তাইয়্যেবাহ [ইকরাম উদ্দীন] কিতাবুল ফিতান কিয়াম ক্বদরিয়া ফির্কা খারেজী জামাতে ইসলামের ভ্রান্ত আকিদা জাহমীয়া ফির্কা তরিকত তাবলীগ দাজ্জাল দুরুদ দেওবন্দী আক্বিদা দোয়া কবুলের নিয়ম নজদী নারী নিয়্যত বাতিল ফির্কা বায়আত গ্রহণ মওদুদী মতবাদ মক্কা মদিনার ফজিলত মাক্বামে মাহমুদ মাযহাব মাযহাবের তাকলিদ মাযার সম্পর্কিত মিলাদুন্নবী (ﷺ) মু'মিন মুজরিয়া ফির্কা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নবুওয়াত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিতা-মাতা ইমানদার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বন্টনকারী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেনজীর-বেমিসাল লেখক ফোরাম শবে বরাত শানে আউলিয়া শানে আহলে বাইয়াত শানে মোস্তফা (ﷺ) শানে সাহাবায়ে কেরাম শাফায়াত শিয়া শিরিক সদকায়ে জারিয়াহ সালাত সৌদি আরবের ইতিহাস হক বাতিলের পরিচয় হাদিস প্রচারে সতর্কতা

৪০তম     হাদিসঃ      শেষ     জামানায়      দাজ্জাল     ও  মিথ্যাবাদীদের আবির্ভাব হবে
عَنْ   أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ  اللَّهِ   صَلَّى اللَّهُ  عَلَيْهِ    وَسَلَّمَ يَكُونُ        فِي      آخِرِ      الزَّمَانِ       دَجَّالُونَ      كَذَّابُونَ        يَأْتُونَكُمْ مِنْالْأَحَادِيثِ  بِمَا   لَمْ   تَسْمَعُوا   أَنْتُمْ   وَلَا  آبَاؤُكُمْ  فَإِيَّاكُمْ  وَإِيَّاهُمْ لَا يُضِلُّونَكُمْ وَلَا يَفْتِنُونَكُمْ
উচ্চারণঃ    ‘আন  আবী  হুরায়রাতা,    ক্বালা   ক্বালা   রাসুলুল্লাহি ছাল্লাল্লাহু    আলাইহি    ওয়া    ছাল্লামা     ইয়াকুনু    ফী     আখিরিয যামানি দাজ্জালুনা কাজ্জাবুনা ইয়া’তুনাকুম মিনাল আহাদীছি বিমা        লাম         তাছমা’উ          ‘আনতুম         ওয়ালা         আবাউকুম ফা-ইয়্যাকুম      ওয়া      ইয়্যাহুম       লা       ইউদ্বিলুনাকুম      ওয়ালা  ইয়াফতিনুনাকুম।

অনুবাদঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন  নবীজী   ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এরশাদ করেন, শেষ যামানায় এমন কিছু দাজ্জাল ও মিথ্যাবাদী  আত্মপ্রকাশ করবে  যারা  তোমাদের নিকট এমন সব (মিথ্যা) হাদিস বলবে যা, না তোমরা কোনদিন  শুনেছ, না তোমাদের বাপ দাদারা শুনেছে। সুতরাং তোমরা তাদের নিকট  থেকে দূরে     থাক  এবং তাদেরকেও তোমাদের কাছ  থেকে দূরে রাখ। এতে করে তারা তোমাদের পথভ্রষ্ট করতে পারবে    না    এবং    তোমাদেরকে    ফেতনায়    পতিত    করতে  পারবে না।

[সহীহ    মুসলিমঃ    ১/২৪,    হাদীস   নং-৮;   আল্লামা   তাহাবী, মুশকিলুল আসার, ৬/৪৪৮, হাঃ ২৮৮৪; শাইখ ওলীউদ্দীন, মেশকাতুল     মসাবীহ,     ১/৩৩     হাঃ     ১৫৪;     আল     মানাবী,  ফয়জুল  ক্বাদীর  ফি শরহে   জামে ‘উস্‌সাগীর, ৬/২৫৮,  হাঃ  ৮৯৩০]

৩৭তম হাদিসঃ সাহাবায়ে কেরামকে গালি দেয়া কুফরী
عَنِ   ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ    اللَّهُ   عَنْهُمَا،  قَالَ : قَالَ   رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى  اللَّهُ  عَلَيْهِ  وَسَلَّمَ  مَنْ  سَبَّ  اَصْحَابِي  فَعَلَيْهِ  لَعْنَةُاللهِ  و  المَلائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعينَ
উচ্চারণঃ ‘আন ইবনে  আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা, ক্বালাঃ ক্বালা    রাসুলুল্লাহি      ছাল্লাল্লাহু   আলাইহি    ওয়া    ছাল্লামা   মান ছাব্বা        আছহাবিহী        ফা-‘আলাইহি       লা’নাতুল্লাহি         ওয়াল মালা-ইকাতি ওয়ান্নাছি আজমাঈন।

অনুবাদঃ     হযরত     ইবনে     আব্বাস     (রাদ্বিয়াল্লাহু     তা’আলা  আনহু) থেকে  বর্নিত। তিনি বলেন, নবীজি  এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার সাহাবীদের গালি দেয় তার উপর আল্লাহর, ফেরেস্তাদের এবং সকল মানব জাতির অভিসম্পাদ।

[তাবরানী   কৃত   মুজামুল   কাবির   ১২/১৪২,   হাঃ   ১২৭০৯;  মুজামুল আউছাতে আবু  সাঈদ খুদরী (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)  সুত্রে,  ৫/৯৪  হাঃ    ৪৭৭১;   মুসান্নাফে    ইবনে   আবি শাইবা ৬/৪০৫, হাঃ ৩২৪১৯]

৩৮তম       হাদিসঃ        আহলে        বায়েত       উম্মতের  নাজাতের উছিলা
عَنْ   أَبِي سَعِيدٍ  الْخُدْرِيِّ، قَالَ    :  سَمِعْتُ رَسُولَ  اللَّهِ  صَلَّى اللَّهُ  عَلَيْهِ   وَآلِهِ   وَسَلَّمَ   :        إِنَّمَا    مَثَلُ   أَهْلِ   بَيْتِي   فِيكُمْكَمَثَلِ  سَفِينَةِ نُوحٍ، مَنْ رَكِبَهَا نَجَا وَمَنْ تَخَلَّفَ عَنْهَا غَرِقَ
উচ্চারণঃ     ‘আন     আবী    সা’ইদিল      খুদরী,    ক্বালাঃ     ছামি’তু রাসুলুল্লাহি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামা, “ইন্নামা মাছালু আহলি    বায়তী    ফীকুম     কামাছালি    ছাফিনাতি      নূহি,    মান  রাকিবাহা নাজা ওয়ামান তাখাল্লাফা ‘আনহা গারিকা।“

অনুবাদঃ  হযরত  আবু  সাঈদ   খুদরী  (রাদ্বিয়াল্লাহু   তা’আলা  আনহু) থেকে  বর্নিত। তিনি বলেন, আমি  নবীজিকে বলতে  শুনেছি,  ”তোমাদের  মধ্যে  আমার  আহলে  বায়াতের  দৃষ্টান্ত  হযরত নুহ (আলাইহিস  সালাম) এর কিস্তির  মত।  এতে যে  আরোহণ করেছে সে মুক্তি পেয়েছে, আর যে এটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, সে ধ্বংস হয়েছে।”

[তাবরানী    কৃত     মুজামুল    কাবির      ১২/৩৪,     হাঃ     ২৩৭৭, ২৬৩৭,   ২৬৩৮,    ২৬৩২;    মুজামুল    আউছাত    ৪/১০    হাঃ ৩৪৭৮;  মুজামুল  ছাগির  ১/২৪০  হাঃ  ৩৯১;  মুসতাগরেকে  হাকেম ৩/১৬৩ হাঃ ৪৭২০]

৩৯তম হাদিসঃ উম্মতে  মুহাম্মদি   কখনও  শিরক করবে না
عَنْ  عُقْبَةَ  بْنِ   عَامِرٍ:  قَالَ  قَال   رَسُولَ  اللَّهِ   صَلَّى  اللَّهُ  عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:  إِنِّي فَرَطُ لَكُمْ، وَأَنَا شَهِيدٌ عَلَيْكُمْ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لَأَنْظُرُ إِلَى   حَوْضِي   الْآنَ،  وَإِنِّي   أُعْطِيتُ   مَفَاتِيحَ  خَزَائِنِ  الْأَرْضِ  أَوْ مَفَاتِيحَ  الْأَرْضِ،    وَإِنِّي  وَاللَّهِ     مَا  أَخَافُ  عَلَيْكُمْ  أَنْ    تُشْرِكُوا بَعْدِي، وَلَكِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تَنَافَسُوا فِيهَا
উচ্চারণঃ      ’আন      উক্ববাতা      বিন      আমিরঃ      ক্বালা,      ক্বালা  রাছুলুল্লাহি   ছাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াছাল্লামা,    ”ইন্নি  ফারাত্বু  লাকুম, ওয়া আনা শাহীদান ’আলাইকুম, ওয়া ইন্নি ওয়াল্লাহি লা-আনযুরু      ইলা      হাউদ্বীল      আন।      ওয়া      ইন্নি      আ’ত্বিতু  মাফাতীহা খাজাইনিল আরদ্বি আও মাফাতীহাল আরদ্বি, ওয়া ইন্নি ওয়াল্লাহি  মা আখাফা ’আলাইকুম আন  তুশরিকু বা’দী,  ওয়ালাকিনি আখাফা ’আলাইকুমু আন তানাফাছু ফীহা।”

অনুবাদঃ হযরত উক্ববা     বিন আমের   (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)  থেকে   বর্নিত। তিনি  বলেন, নবীজি এরশাদ  করেন আমি   তোমাদের  অগ্রবর্তী  ও  তোমাদের  উপর  সাক্ষদাতা।  আল্লাহর    কসম!   অবশ্যই  এই  মূহুর্তে  আমি   আমার  হাউজ (কাউছার) দেখতে পাচ্ছি। এবং অবশ্যই আমাকে জমিনের খাজানার     সমূহের     চাবি     অথবা     জমিনের     চাবি     দেওয়া  হয়েছে।  খোদার কসম! আমি এ নিয়ে ভীত নই যে  তোমরা আমার পরে শিরিকে লিপ্ত হবে বরং আমি এ নিয়ে ভীত যে, তোমরা দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে।

[সহীহ    বুখারী,    অনুচ্ছেদঃ      মানাকিব,     অধ্যায়:    ইসলামে  নবুয়্যতের  আলামত,  ৩/১৩১   হাঃ  ৩৪০১;  সহীহ   মুসলিম, অনুচ্ছেদঃফাযায়েল   অধ্যায়ঃ   নবী  এর  হাউজের   প্রমান  ও  বৈশিষ্ট, ৪/১৭৯৫ হাঃ ২২৯৬]

৩৪তম হাদিসঃ নবীজি ﷺ এর উছিলায় দোয়া
عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ أَنَّ رَجُلًا  ضَرِيرَ الْبَصَرِ أَتَى  النَّبِيَّ   صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ   وَسَلَّمَ فَقَالَ : ادْعُ  اللَّهَ   أَنْ  يُعَافِيَنِي  قَالَ إِنْ  شِئْتَ دَعَوْتُ   وَإِنْ  شِئْتَ  صَبَرْتَ  فَهُوَ  خَيْرٌ  لَكَ    قَالَ   فَادْعُهْ  قَالَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَوَضَّأَ فَيُحْسِنَ وُضُوءَهُ وَيَدْعُوَ بِهَذَا الدُّعَاءِ {اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ يَا مُحّمَّدَ ! إِنِّي   تَوَجَّهْتُ   بِكَ   إِلَى  رَبِّي   فِي  حَاجَتِي  هَذِهِ   لِتُقْضَى  لِيَ  اللَّهُمَّ  فَشَفِّعْهُ فِيَّ}
উচ্চারণঃ    ‘আন    উছমান    বিন    হুনাইফিন    আন্না   রাজুলান,  দ্বারিরাল বাছারি আতান্নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামা ফাক্বালাঃ উদ’উল্লাহা ‘আন   ইউ’আফিয়ানী   ক্বালা ইন  শি’তা দা’আওতু    ওয়া  ইন  শি’তা  ছাবারতা    ফাহুয়া   খায়রুল্লাকা।  ক্বালা    ফাদ’উহু    ক্বালা   ফাআমরাহু    ‘আন    ইয়াতাওয়াদ্দ্বাআ ফাইউহছিনা       ওদ্বুয়াহু        ওয়া        ইয়াদ’ঊ         বিহাজাদ্দ্বো’আই “আল্লাহুম্মা  ইন্নী  আছআলুকা ওয়া    আতাওয়াজ্জাহু ইলাইকা বিনাবিয়্যিকা          মুহাম্মাদিন         নাবিয়্যির          রাহমাতি,         ইন্নী  তাওয়াজ্জাহতু     বিকা      ইলা     রাব্বী      ফী     হা-জাতী     হাজিহি লিতুক্বদ্বা, লিয়া আল্লাহুম্মা ফাশাফফি’হু ফিয়্যা”।

অনুবাদঃ হযরত ওসমান বিন হুনাইফ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্নিত। তিনি  বলেন, এক   অন্ধ   ব্যক্তি  রাসূল ছাল্লাল্লাহু   ‘আলাইহি   ওয়া   সাল্লামার   দরবারে   হাজির   হয়ে  আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমার চোখের জ্যোতি ফিরে পাবার জন্য দোয়া করুন। নবীজি ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া   সাল্লাম  বললেন,    তুমি  যদি    চাও   এখনি  দোয়া  করি, তাহলে সেটাই করা হবে। আর চাইলে তুমি সবুর কর, সেটা তোমার    জন্য    উত্তম     হবে।     তিনি    আরজ   করলেন   আক্বা এখনই   দোয়া     করুন।       নবীজি   ছাল্লাল্লাহু   ‘আলাইহি   ওয়া সাল্লাম     তাকে    ভালোভাবে    অজু    করার     এবং     দু'রাকাত  নামাজ পড়ার  নির্দেশ  করলেন।   এবং   বললেন- এই  ভাবে দোয়া   কর,  ”হে আল্লাহ!   আমি   আপনার দিকে মনোনিবেশ করছি  এবং   আপনার   নিকট   প্রার্থনা  করছি   রহমতের   নবী মুহাম্মাদ  সাল্লাল্লাহু   আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এর  উছিলায়। হে মুহাম্মাদ! আপনার উছিলায় আমি আমার প্রভুর কাছে হাজ্বত পেশ   করছি,   আমার     আবেদন   যেন   মঞ্জুর    করা   হয়।   হে  আল্লাহ    আমার     হক্বের     উপর    আমার      আক্বা     ও    মাওলা   ছাল্লাল্লাহু     ‘আলাইহি     ওয়া     সাল্লাম     এর     সুপারিশ     কবুল  করুন।”    এইরূপ    দু‘আর    ফলে    লোকটি    দৃষ্টিশক্তি    ফিরে  পেয়েছিলেন।

[সুনানে   তিরমিজি    ৫/৫৬৯    হাঃ    ৩৫৭৮;   সুনানে    নাসাঈ  ৬/১৬৮     হাঃ     ১০৪৯৪-১০৪৯৫;     সুনানে     ইবনে     মাজাহ  ১/৪৪১    হাঃ   ১৩৮৫;    সহীহ   ইবনে   খুযাইমা   ২/২২৫   হাঃ ১২১৯;      মুসনাদে       আহমদ      বিন        হাম্বল         ৪/১৩৮      হাঃ ১৭২৪০-১৭২৪২; মুস্তাদরাকে হাকেম ১/৪৫৮/৭০০/৭০৭; হাঃ ১১৮০, ১৯০৯, ১৯২৯]

৩৫তম   হাদিসঃ   নবীজি   ﷺ   মাক্বামে   মাহমুদে  অধিষ্ঠিত হবেন
عَنْ   آدَمَ  بْنِ  عَلِيٍّ،  قَالَ:  سَمِعْتُ   ابْنَ  عُمَرَ  رَضِيَ  اللَّهُ  عَنْهُمَا، يَقُولُ:  إِنَّ النَّاسَ يَصِيرُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ جُثًا، كُلُّأُمَّةٍ تَتْبَعُ نَبِيَّهَا  يَقُولُونَ: يَا  فُلاَنُ  اشْفَعْ، يَا  فُلاَنُ اشْفَعْ، حَتَّى  تَنْتَهِيَ الشَّفَاعَةُ    إِلَى   النَّبِيِّ  صَلَّى  اللهُ  عَلَيْهِ  وَسَلَّمَ،   فَذَلِكَيَوْمَ  يَبْعَثُهُ اللَّهُ المَقَامَ المَحْمُودَ
উচ্চারণঃ   ‘আন  আদাম  বিন  আলী,   ক্বালাঃ   ছামি’তু   ইবনে   উমারা      রাদ্বিয়াল্লাহু    ‘আনহুমা,    ইয়াক্বুলুঃ     “ইন্নান্নাছা     ইয়া  ফুলানু-শ্ ফা’ইয়াছিরুনা ইয়াওমাল    ক্বিয়ামাতি  জুছান,  কুল্লু উম্মাতিন  তাতবা’উ     নাবিয়্যাহা  ইয়াক্বুলুনাঃ   ইয়া  ফুলানু-শ্  ফা’, হাত্তা তানতাহীয়া-শ শাফা’আতু ইলা-ন্নাবিয়্যি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি             ওয়া              ছাল্লামা,             ফা-জালিকা             ইয়াওমা  ইয়াব’আছুহুল্লাহুল মাক্বামাল মাহমুদা।

অনুবাদঃ  হযরত  আদম    বিন     আলী   (রাদ্বিয়াল্লাহু  তা’আলা আনহু)   থেকে     বর্নিত।   তিনি   বলেন,   আমি   আব্দুল্লাহ   বিন ওমর   (রাদ্বিয়াল্লাহু      তা’আলা    আনহু)    কে    বলতে   শুনেছি, কেয়ামতের  দিন মানুষেরা   দলে  দলে  বিভক্ত হয়ে  পড়বে। প্রত্যেক উম্মত তাদের নিজ নিজ নবীর পিছনে থাকবে এবং আরজ     করবে,     হে     অমুক!     আমাকে     শাফায়াত     করুন।  এমনিভাবে   শাফায়াতের  কথা  নবীজির  কাছে  এসে   সমাপ্ত হবে। তাই ঐদিনে আল্লাহ পাক নবীজিকে মাক্বামে মাহমুদে অধিষ্ঠিত করবেন।

[সহীহ  বোখারীঃ  কোরআনের  তাফসির  অধ্যায়,    ৪/১৭৪৭ হাঃ ৪৪৪১; সুনানে কুবরা নাসাঈ ৬/৩৮১ হাঃ ২৯৫]

৩৬তম      হাদিসঃ   নবীজী    ﷺ   ইলমে   গায়েবের অধিকারী
عَنِ  عُمَرَ  رَضِيَ  اللَّهُ  عَنْهُ  يَقُولُ  قَامَ  فِينَا   النَّبِيُّ    صَلَّى  اللَّهُ عَلَيْهِ  وَسَلَّمَ مَقَامًا  فَأَخْبَرَنَا عَنْ  بَدْءِ الْخَلْقِحَتَّى دَخَلَ   أَهْلُ الْجَنَّةِ    مَنَازِلَهُمْ   وَأَهْلُ    النَّارِ     مَنَازِلَهُمْ   حَفِظَ   ذَلِكَ    مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ
উচ্চারণঃ   ‘আন   উমারা    রাদ্বিয়াল্লাহু   ‘আনহু    ইয়াক্বুলু   ক্বামা ফীনা-ন্নাবিয়্যি   ছাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়া   ছাল্লামা   মাক্বামান  ফা-আখবারনা ‘আন বাদ-ইল খালক্বি হাত্তা দাখালা আহলুল জান্নাতি    মানাযি   লাহুম    ওয়া    আহলু    ন্নারি     মানাযি   লাহুম হাফিযা জালিকা মান হাফিযাহু ওয়া নাছিয়াহু মান নাছিয়াহু।

অনুবাদঃ হযরত ওমর  (রাদ্বিয়াল্লাহু  তা’আলা আনহু)  থেকে  বর্নিত।     তিনি     বলেন,     একদা      নবীজি      আমাদের     মাঝে দন্ডায়মান  ছিলেন।  নবীজি  সৃষ্টির  শুরু  থেকে  জান্নাতিদের  জান্নাতে প্রবেশ করা এবং দোযখীদের দোযখে প্রবেশ করা পর্যন্ত সব কিছু বলে দিলেন। যে সেটা মনে রাখতে পেরেছে সে রেখেছে, যে ভুলে যাওয়ার সে ভুলে গেছে।

[সহীহ বোখারীঃ সৃষ্টির শুরু অধ্যায়, ৩/১১৬৬ হাঃ ৩০২০]

MKRdezign

TAGS

২০ রাকাত তারাবিহ (1) ৪ ইমামের জীবনী (4) ৭৩ দল (1) আমল (2) আল্লাহ ও রাসূল (ﷺ) কে ভালবাসা (2) আসমাউন নবী (ﷺ) (1) আহলুস-সুন্নাহ (2) আহলে কুরআন ফির্কা (1) ইনসান (1) ইবনে তাইমিয়্যা (1) ইমান (3) ইলমে গায়েব (1) ইসলামের ভিত্তি (1) উসীলা (8) এপ্সঃ আল আউলিয়া (54) ওহাবী (3) কবর ও মাযার জিয়ারত (2) কিতাবঃ ৪০ হাদিস মুখস্ত রাখার ফজিলত (41) কিতাবঃ আকাইদে আহলুস সুন্নাহ (7) কিতাবঃ ইসলামের মূলধারা [মঈনুদ্দীন আশরাফী] (21) কিতাবঃ উচ্চস্বরে জিকিরের বিধান [ইমাম সুয়ূতী] (2) কিতাবঃ নবীগণ (আঃ) স্বশরীরে জীবিত - ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) (4) কিতাবঃ বিভ্রান্তির অবসান (16) কিতাবঃ মহানবী (ﷺ) নূর [হাদ্দাদ দামেশকী] (1) কিতাবঃ শাহ নেয়ামাতুল্লাহ (রহঃ)'র ভবিষ্যদ্বাণী (1) কিতাবঃ সালাফীদের জবাবে কালিমায়ে তাইয়্যেবাহ [ইকরাম উদ্দীন] (14) কিতাবুল ফিতান (1) কিয়াম (1) ক্বদরিয়া ফির্কা (1) খারেজী (3) জামাতে ইসলামের ভ্রান্ত আকিদা (2) জাহমীয়া ফির্কা (1) তরিকত (1) তাবলীগ (2) দাজ্জাল (1) দুরুদ (1) দেওবন্দী আক্বিদা (1) দোয়া কবুলের নিয়ম (1) নজদী (1) নারী (1) নিয়্যত (1) বাতিল ফির্কা (2) বায়আত গ্রহণ (3) মওদুদী মতবাদ (2) মক্কা মদিনার ফজিলত (1) মাক্বামে মাহমুদ (1) মাযহাব (13) মাযহাবের তাকলিদ (12) মাযার সম্পর্কিত (5) মিলাদুন্নবী (ﷺ) (1) মু'মিন (2) মুজরিয়া ফির্কা (1) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নবুওয়াত (1) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিতা-মাতা ইমানদার (1) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বন্টনকারী (1) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেনজীর-বেমিসাল (1) লেখক ফোরাম (2) শবে বরাত (1) শানে আউলিয়া (20) শানে আহলে বাইয়াত (1) শানে মোস্তফা (ﷺ) (6) শানে সাহাবায়ে কেরাম (1) শাফায়াত (1) শিয়া (3) শিরিক (1) সদকায়ে জারিয়াহ (1) সালাত (7) সৌদি আরবের ইতিহাস (1) হক বাতিলের পরিচয় (2) হাদিস প্রচারে সতর্কতা (1)

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget